তৃণমূল নেত্রীর কুশপুতুল দাহ করে পথ অবরোধে বিজেপি কর্মীরা : জেলা জুড়ে আন্দোলন

10th December 2020 11:13 pm বর্ধমান
তৃণমূল নেত্রীর কুশপুতুল দাহ করে পথ অবরোধে বিজেপি কর্মীরা : জেলা জুড়ে আন্দোলন


প্রদীপ চট্টোপাধ‍্যায় ( বর্ধমান ) :  ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার প্রতিবাদে  বহস্পতিবার রাজ্যের সর্বত্র স্বোচ্চার হল বিজেপি নেতা ও কর্মীরা। প্রতিবাদ থেকে পিছিয়ে থাকেন নি পূর্ব বর্ধমানের বিজেপি নেতা কর্মীরাও।বিজেপির প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও তৃণমূল নেত্রীর কুশপুতুল দাহ ঘিরে এদিন বিকালের পর থেকেই জেলায়  রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ চড়ে । তবে সর্বত্র পুলিশ সজাগ থাকায় কোথায় কোন গোলযোগ আশান্তির ঘটনা ঘটেনি ।  বিজেপি যুবমোর্চার কর্মীরা এদিন  সন্ধ্যায় শহর বর্ধমানের জিটি রোডের কার্জনগেট চত্ত্বরে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে।  মহিলা মোর্চার কর্মীরাও বিক্ষোভে অংশ নেয়  অদরোধের জেরে জিটি রোডে যানবাহন চলাচল থমকে যায় । আটকে পড়েন পথচারিরাও।  কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর পুলিশ সেখানে পৌছে  অবরোধ তুলে দেয়।বর্ধমান শহরের পাশাপাশি বর্ধমান আরামবাগ রোড , মেমারি তারকেশ্বর রোড ,মেমারিতে জিটি রোড ,মন্তেশ্বরে বাজারে মেমারি মালডাঙ্গা রোড ছাড়াও গুসকরা ,পূর্বস্থলী  সমুদ্রগড় ও কালনায় সড়কপথ অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখায় ।এদিন সন্ধ্যায়  বর্ধমান আরামবাগ রোডের সেহারাবাজারে পথ-অবরোধ করে বিজেপি  যুব মোর্চার কর্মীরা।তারা  প্রায়  ঘন্টা খানেক পথ অবরোধ করে রাখে । পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। এছাড়াও বিজেপি যুবমোর্চার কর্মীরা  জামালপুরে হরেকৃষ্ণ কোঙার সেতুর মুখে রাস্তায় টায়ার  জ্বালিয়ে  আধঘন্টা পথ-অবরোধ  করে রাখে । সেখানেই তারা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুলও দাহ করে । বিজেপি কর্মীদের পথ অবরোধ বিক্ষোভের জেরে মেমারি তারকেশ্বর রোড ও হয়েকৃষ্ণ কোঙার সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল  পুরোপুরি থমকে থাকে।পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে ।  জেলা বিজেপি সভাপতি সন্দীপ নন্দি বলেন , “বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি  জে পি নাড্ডারও এই রাজ্যে কোন নিরাপত্তা নেই । তৃণমূলের লোকজন রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মীদের উপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে । এদিন জে পি নাড্ডার কনভয়েও হামলা চালানো হল ।  তবে হামলা চালিয়ে বিজেপিকে রোখা যাবে না । আগামী বিধানসভা ভোটে পরাজয় নিশ্চিৎ জেনে তৃণমূল এখন হামলা চালিয়ে বিজেপিকে দমিয়ে রাখাতে চাইছে। তবে হামলা চালিয়ে বিজেপিকে রোখা যাবে না পূর্ব বর্ধমান সহ রাজ্যের সর্বত্র বিজেপি কর্মীর আরও জোরদার লড়াই আন্দোলনে নামবে। ”
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের রাজ্যের মুখপাত্র তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধীপতি দেবু টুডু বলেন ,“তৃণমূল সরকার রাজ্যে যে প্রভূত উন্নয়ন করেছে তা গোটা রাজ্যবাসী জানেন । বিজেপি শাসিত কোন রাজ্যের সরকার এত উন্নয়ন করতে পারেনি । 
উন্নয়নের  নিরিখে তৃণমূলের সঙ্গে পেরে না উঠে বহিরাগতরা প্রতিদিন রাজ্যে এসে অশান্তি পাক্কাচ্ছে । বাংলার মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে । ”

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।